ভারতের ক্রীড়া ইতিহাসে রবিবারের রাত স্বর্ণাক্ষরে লেখা হয়ে গেল। নবি মুম্বইয়ের ডিওয়াই পাটিল স্টেডিয়ামে বিশ্বকাপের ফাইনালে ইতিহাস গড়ল হরমনপ্রীত কউরের নেতৃত্বাধীন ভারতীয় মহিলা ক্রিকেট দল। প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপ জিতে নিল টিম ইন্ডিয়া—একই সঙ্গে কোটি কোটি মেয়ের স্বপ্নপূরণ হল এই জয়ের মধ্য দিয়ে।
শেষ বলে হরমনপ্রীতের হাতে ধরা ক্যাচ, আর সঙ্গে সঙ্গে বাঁধনছাড়া উল্লাস—অসংখ্য চোখে জল, হৃদয়ে গর্বের ঢেউ। এই জয় শুধুই এক ম্যাচের জয় নয়, এটি ভারতের নারীশক্তির, সাহসের, ও আত্মবিশ্বাসের জয়।
প্রতিটি খেলোয়াড়ের লড়াই ও দৃঢ়তা এই জয়ের পেছনে অদম্য শক্তি হিসেবে কাজ করেছে।
* *হরমনপ্রীত কউর*—পঞ্জাবের মোগা জেলার মেয়ে। ২০১৭ সালের বিশ্বকাপে তাঁর ১৭১ রানের ইনিংস আজও অনুপ্রেরণা। মায়ের আপত্তি পেরিয়ে মাঠে নামার অধিকার অর্জন করে আজ তিনি সাহসের প্রতীক।
* *স্মৃতি মন্ধানা*—শান্ত অথচ আত্মবিশ্বাসী। ব্যাট হাতে তিনি নিখুঁত শিল্পী।
* *জেমাইমা রড্রিগেজ*—মাত্র ৭ বছর বয়সে ক্রিকেট শুরু, ডিপ্রেশনের অন্ধকার কাটিয়ে এখন দলের প্রাণভোমরা।
* *দীপ্তি শর্মা*—অলরাউন্ডার ও পুলিশের ডেপুটি সুপার। এই বিশ্বকাপে ২০০ রান ও ১৫ উইকেট নিয়ে তৈরি করেছেন রেকর্ড।
* *রিচা ঘোষ*—বঙ্গের গর্ব। ১৪ বছর বয়সে সিনিয়র দলে অভিষেক, এখন দেশের প্রথম মহিলা বিশ্বকাপজয়ী বাঙালি ক্রিকেটার।
কাঠমিস্ত্রির হাতে তৈরি ব্যাট থেকে শুরু করে সবজি বিক্রেতার মেয়ের হাতে ট্রফি—এই গল্প প্রতিটি ভারতীয় মেয়ের জয়ের গল্প।
রোহিত শর্মার দল যেখানে থেমে গিয়েছিল, সেখানে হরমনপ্রীতের মেয়েরা নতুন ইতিহাস গড়লেন।
এই জয় শুধুই ক্রিকেট নয়—এটি ভারতীয় নারীর জেদ, পরিশ্রম ও আত্মবিশ্বাসের জয়।